চিনি ও মিষ্টি খাবার
চিনি আমাদের শরীরে বিষ হিসাবে কাজ করে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এতে আমাদের ইনসুলিন হরমোন এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা আমাদের শরীরে ফ্যাট সৃষ্টি করে আইসক্রিম মিষ্টি এসব খাবার আমাদের শরীরে চর্বি জন্ম দেয় তাই আমাদের পেটের মেদ কমাতে অবশ্যই অবশ্যই চিনি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে
কোমল পানিও
আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব সফট ড্রিংকস খাই তা আমাদের শরীরের মেটাবলিজমকে একেবারেই নষ্ট করে দেয় । আপনি যদি কোমল পানীয় দীর্ঘদিন খান তাহলে আপনার শরীরের ওজন ও আপনার পেটের চর্বি দিন দিন বাড়তে থাকে। তাই আপনি যদি আপনার পেটের ফ্যাট কমাতে চান তাহলে পানীয় হিসাবে আপনি পানি লেবুর শরবত ইত্যাদি খেতে পারেন।
পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট
আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব খাবার খাই এর মধ্যে সাদা ভাত, সাদা রুটি, পাস্তা অনেকেই খেয়ে থাকেন । এই সকল খাবারের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে যা শরীরে গ্লুকোজে পরিণত হয় । এর ফলে রক্তে চিনি বেড়ে যায় এবং পেটের নিচে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জন্ম দেয়।
ফাস্ট ফুড ও ভাজাপোড়া খাবার
আমাদের মধ্যে অনেকের ফাস্টফুড ও ভাজাপোড়া খাওয়ার খুব বেশি অভ্যাস রয়েছে। আমরা যে বার্গার, ফ্রেন্ডস ফ্রাই, চিকেন ফ্রাই ইত্যাদি খায় এতে প্রচুর পরিমাণে তেল থাকে। এ সকল খাবার শরীরে ফ্যাট জন্ম দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এছাড়াও নানা ধরনের রোগ ব্যাধি জন্ম দিতে পারে। এছাড়াও এটি আমাদের শুধু পেটের মেদই নয় হার্টেরও অনেক ধরনের রোগ সৃষ্টি করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
আমাদের মধ্যে অনেকের চিফ, নুডুলস, প্যাকেট জাতীয় খাবার খাওয়ার খুব বেশি প্রবণতা রয়েছে। এই সকল খাবারে রয়েছে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম, প্রিজারভেটিভ, কৃত্রিম ফ্লেভার যা শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর যা খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি জন্ম নেয়। এগুলো আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে পানি ধরে রাখে যার ফলে পেট ফুলে যায় এবং স্থায়ীভাবে চর্বি জন্ম নেয়। তাই আমরা এ সকল খাদ্য অবশ্যই ত্যাগ করব এর বিপরীতে আমরা প্রাকৃতিক শাক-সবজি ফলমূল খেতে পারি যা আমাদের জন্য খুবই উপকারী।
চকলেট ও মিষ্টি পানীয়
আমাদের মধ্যে অনেকের চা, কফির অভ্যাস রয়েছে। এতে খুব বেশি পরিমাণে স্ট্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। যা আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি যোগ করে। বিশেষ করে কেউ যদি রাতে এই সকল পানীয় খায় তাহলে তার শরীরে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট বার্ন হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আমাদের অবশ্যই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
অ্যালকোহল
অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। অ্যালকোহল লিভারের সাধারণ কার্যকারিতা ব্যাহত করে। অ্যালকোহল আমাদের শরীরের ফ্যাটকে পোড়াতে পারে না এর ফলে অতিরিক্ত এসব অ্যালকোহল আমাদের শরীরের পেটের অংশে জমা হয় । এতে ফ্যাট বাড়ে। অ্যালকোহল যদি আমরা নিয়মিত পান করি তাহলে আমাদের পেট মোটা হয় । এসকল অ্যালকোহলের বিপরীতে আমরা স্বাস্থ্যসম্মত গ্রিন টি বা হারবালটি জাতীয় পানীয় খেতে পারি যা শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যসম্মত।
প্যাকেট জুস
আমাদের আশেপাশের মুদির দোকান এবং সুপার সবগুলোতে যে সকল জুস পাওয়া যায় তার বেশির ভাগই খারাপ উপাদান দ্বারা তৈরি। এ সকল জুসের ভিতরে থাকে অতিরিক্ত চিনি, প্রিজারভেটিভ ও কৃত্রিম ফ্লেভার যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই সকল উপাদান গুলো আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট তৈরি করে। আবার এই সকল খাবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর আমাদের লিভার থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পতঙ্গ বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। তাহলে আমরা এই সমস্যার সমাধান হিসেবে বাজার থেকে ফ্রেশ ফল ফলাদি এনে বাসায় জুস তৈরি করে খেতে পারি যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী।
হাই ফ্যাট ও দুগ্ধজাত খাদ্য
দুধ, চিজ, বাটার, ক্রিম এ সকল উপাদান গুলোর ভিতরে অনেক বেশি পরিমাণে ফ্যাট থাকে। আবার অতিরিক্ত পরিমাণ এই সকল উপাদান গুলো খেলে শরীরের কোলেস্ট্রোরেজের মাত্রা খুবই বাড়িয়ে দেয়। পেটে চর্বি জমতে সাহায্য করে । তাই এই সকল খাবার গুলো আমাদের শরীরের জন্য খুব একটা ভালো নয়। যদি লো-ফ্যাট বা স্কিমড দুধ খাওয়া যায় তা আমাদের দেহের জন্য ভালো।
অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার
শরীরের জন্য অতিরিক্ত লবণ অনেক বেশি ক্ষতিকর। লবণ শরীরে সোডিয়াম ধরে রাখে এর ফলে আমাদের দেহে পানি জমে থাকে এবং শরীর ফুলে যায়। এর ফলে আমাদের পেট অনেকটা ভারী মনে হয় অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলে আমাদের ব্লাড প্রেসার বাড়তে পারে যা আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর। আমরা যদি অতিরিক্ত লবণ পরিহার করে লেবুর রস বা মসলা দিয়ে আমরা আমাদের দৈনন্দিন রান্নাগুলো করে থাকি তাহলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো একটি উপায়।
অবশেষে একটি কথা পেটের মেদ কমানো শুধু সৌন্দর্যরি বিষয় নয়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমরা যদি নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করি এবং এর সাথে সাথে সুষম খাদ্যগুলো গ্রহণ করি তাহলে আমাদের দেহের খুব দ্রুতই পরিবর্তন দেখা যাবে। উপরের এ সকল খাবারগুলো ত্যাগ করার মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই এই মেদ এর সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারি।
.jpg)