জেনে রাখুন ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ছয়টি কার্যকরী উপায়


ইয়াং গর্জিয়াস লুকিং দেখতে কে না চায়। বর্তমানে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমতে থাকে যা একটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু আমরা সকলেই চাই আমাদের বয়স কম দেখাক আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ুক। সময়কে তো আর ধরে রাখা যায় না সময় সময়ের গতিতে চলতে থাকে। কিন্তু আপনি যদি চান তাহলে আপনি সময়ের সাথেও আপনি আপনার উজ্জ্বলতাকে ধরে রাখতে পারবেন। তাহলে আসুন জেনে নিন আজকের ব্লগে আমরা কথা বলব কিভাবে বয়স বাড়লেও আপনি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে পারেন।

১. পর্যাপ্ত ঘুম নিন 

রাতে অন্তত প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুম শরীরের জন্য খুবই উপকারী এতে আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। ঘুমের মাধ্যমে ত্বকের কোষ গুলো পূর্ণ গঠন হয় ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। ঘুম ডার্ক সার্কেল ও ক্লান্তি ভার্ব দূর করে। আবার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম না হয়ে থাকে তাহলে ত্বকের কোর্সগুলোতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। চোখের নিচে সার্কেল পড়ে এছাড়াও মুখ ফ্যাকাসে হয়ে আসে।তাই আমাদের উচিত ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম বাধ্যতামূলক।

২. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা

আমাদের শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পানি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এই পানি শুধু শরীর নয় ত্বকের তারণ্য ধরে রাখতে সবচেয়ে সহজ ও প্রাকৃতিক উপাদান হচ্ছে এই পানি। পর্যাপ্ত পানি পান করলে ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে এর ফলে ত্বক অনেকটা হেলদি দেখায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে এই পানি শরীরের থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে টক্সিন বের করে দেয়। এছাড়াও এই পানি আমাদের ত্বকের ব্রণ, ফুলকুঁড়ি এছাড়াও আরো ধরনের সমস্যার সমাধান। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে ত্বকে হাইড্রেট ও টানটান ভাব বজায় রাখে। ত্বকের শুষ্কতা ও রুক্ষতা কমায় তাই আমাদের উচিত পর্যাপ্ত পরিমাণের পানি পান করা।

৩. সুষম খাদ্য গ্রহণ করা 

সুন্দর ত্বকের জন্য সুষম খাদ্য খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের উজ্জ্বলতার এই মূল চাবিকাঠি হল সুষম খাদ্য। ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা প্রতিনিয়ত বাড়তে থাকে। এছাড়াও রঙিন ফল শাকসবজি বাদামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যদি আমাদের শরীরে প্রবেশ করে তাহলে এই উপাদানগুলো ত্বকের কোলাজেন উৎপন্ন করে ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। আপনি যদি সুষম খাদ্য প্রতিনিয়ত গ্রহণ করতে পারেন তাহলে আপনার বয়সের ছাপ রিং দিন দিন কমতে থাকবে উজ্জ্বল বাড়াবে, কোমল ও দাগ মুক্ত করবে।

৪. সানস্ক্রিন ব্যবহার করা 

সূর্যের UV রশ্নি ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। আপনার এই ত্বকের উজ্জ্বলতা এক নিমিষেই শেষ হয়ে যেতে পারে। তাই রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এই সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকে। এছাড়াও এই সানস্ক্রিন সানবার্ন, দাগ ও রিঙ্কল কমায়, ত্বকের কোলাজেল নষ্ট হওয়া রোধ করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। তাই অবশ্যই অবশ্যই সাবস্ক্রিন ব্যবহার করবেন।

৫. মানসিক চাপ কমান

মানসিক চাপ শুধু আমাদের শরীরের বা মস্তিষ্কের উপরই প্রভাব ফেলে না ত্বকের উপরেও সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে । অতিরিক্ত স্ট্রেসের কারণে আমাদের শরীরে হরমোন অনেক বেড়ে যায় এর ফলে ত্বকে তৈলাক্ত ভাব বেড়ে যায় । এই তৈলাক্ত ভাবের কারণে ত্বকে বা মুখে ব্রণ ফুসকুড়ি ও নিস্তেজভাব তৈরি করে। তাই আমাদের উচিত প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করা, হাঁটাচলা করা । এর ফলে মানসিক প্রশান্তি আসে যা ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে দেয়। দৈনন্দিন বা প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করলে ত্বকের বার্ধক্য ধীরে ধীরে কমতে থাকে মন শান্ত রাখে ত্বক সতেজ রাখে।

৬. সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব ও ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন

আপনি যদি নিয়মিত সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব ও ফেসমাস্ক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার এই ত্বকের উজ্জ্বলতার সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে । স্ক্রাব ও ফেসমাস্ক আমাদের ত্বকের মৃত কোষগুলো জীবিত করে, ত্বকের ছিদ্রগুলো পূর্ণ করে, ত্বককে পরিষ্কার রাখে, ত্বককে আলাদাভাবে পুষ্টি প্রদান করে এর ফলে ত্বক হয় খুবই মসৃণ উজ্জ্বলতা এবং জীবন্ত। ত্বকে টানটান ভাব বজায় রাখতে ফেস মাস্ক খুবই ভালো কাজ করে।


আমরা সবাই চাই আমাদের বয়স যেন না বড় আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকুক আমরা যদি এই উপায় গুলো দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা স্বাভাবিক থাকবে তবে এরপরেও যদি আপনি ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন তাহলে আপনি স্কিন কেয়ার ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে পারেন।


Previous Post Next Post